হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ শহরের ৩নং পুল এলাকায় বিয়ের প্রতিশ্র“তি দিয়ে সেজিয়া খাতুন (৩০) নামে এক যুবতীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এক লম্পট। এতে ওই যুবতী অন্তসত্তা হয়ে পড়েছে। সামাজিক কোন বিচার না পেয়ে অবশেষে সে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্রুনাল আদালতে ঙ্গলবার দুপুরে ওই লম্পটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন। বাদী পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন এপিপি মোঃ আতাউর রহমান।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সেজিয়ার স্বামী আব্দুল আজিজ মারা যাওয়ার পর তার সন্তানদেরকে লেখা পড়া করানোর জন্য ৩নং পুল এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসাবাস করে আসছে। আত্মীয়তার সুবাধে শহরতলীর উমেদনগর নোয়াহাটি গ্রামের আরজু মিয়ার পুত্র জুয়েল মিয়া (৩৫) তার বাসায় আসা যাওয়া করত। এক পর্যায়ে সেজিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে গত ১৫ এপ্রিল রাতে সেজিয়ার সাথে জুয়েল শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এর পর থেকে প্রায়ই সে তা চালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে সে অন্তসত্তা হয়ে পড়ে। এতে জুয়েল কে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে নানা রকম টালবাহানা শুরু করে। এতে সেজিয়া সামাজিক বিমর্ষ হয়ে পড়ে। সমাজে বিচার না পেয়ে অবশেষে নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে।